দাবা, লুডু কিংবা ক্যারাম আমাদের সমাজে প্রচলিত তিনটি খেলার নাম। তিনটিই গুটি দিয়ে খেলা হয়। পাশা খেলা এগুলোর সমগোত্রীয় খেলা। এ সকল খেলাগুলোর উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায়। ইসলামে এ সকল খেলাগুলো সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে।
চাই তা জুয়ার দ্বারা হোক কিংবা জুয়া ছাড়া এমনিই হোক না কেন। সর্বাবস্থায় হারাম। হাদীসে কঠোরভাবে এ খেলাগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে।
ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻋَﻦْ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺑْﻦِ ﻣَﻴْﺴَﺮَﺓَ، ﻋَﻦْ ﺳَﻌِﻴﺪِ ﺑْﻦِ ﺃﺑِﻲ ﻫِﻨْﺪٍ , ﻋَﻦْ ﺃﺑِﻲ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺍﻷَﺷْﻌَﺮِﻱِّ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻦْ ﻟَﻌِﺐَ ﺑِﺎﻟﻨَّﺮْﺩِ ﻓَﻘَﺪْ ﻋَﺼَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ
অর্থাৎ আবূ মূসা আশআরী (রা.) হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলো।”
[মুয়াত্তা মালিক, হা. ৭৬৯; সুনান আবূ দাউদ, হা. ৪৯৩৮]
ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻋَﻦْ ﻧَﺎﻓِﻊٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ : ﺃَﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪﺍً ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﻳَﻠْﻌَﺐُ ﺑِﺎﻟﻨَّﺮْﺩِ ﺿَﺮَﺑَﻪُ ﻭَﻛَﺴَﺮَﻫَﺎ
অর্থাৎ “আব্দল্লাহ ইবনে উমর (রা.) যদি তাঁর পরিবারের কাউকে দাবা বা পাশা খেলা দেখতেন, তাহলে তাকে মারতেন এবং দাবা ভেঙে ফেলতেন।”
[মুয়াত্তা মালিক; আওজাযুল মাসালেক, শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কন্ধলভী, ১৭/৫৩]
সহীহ মুসলিমের হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো সে যেন তার হাত শুকরের মাংস ও রক্তে ডুবালো।”
ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻟﻌﺐ ﺑﺎﻟﻨﺮﺩﺷﻴﺮ ﻓﻜﺄﻧﻤﺎ ﺻﺒﻎ ﻳﺪﻩ ﻓﻲ ﻟﺤﻢ ﺧﻨﺰﻳﺮ ﻭﺩﻣﻪ
[সহীহ মুসলিম, হা. ২২৬০; সুনানে আবূ দাউদ, হা. ৪৯৩৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হা. ৩৭৬৩; সুনানুল কুবরা, নাসায়ী; তালখীসুল হাবীর, খ. ৪, পৃ. ৬৩]
শায়খুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন,
“ইমাম আবূ হানীফা ও ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) বলেন, “দাবা বা পাশা খেলোয়ারকে সালাম দিবে না, কেননা সে প্রকাশ্যে জঘন্য পাপে লিপ্ত।”
[মজমউল ফাতাওয়া, ৩২/২৪৫]
সুতরাং আমাদের উচিৎ এ সকল খেলা থেকে বেচে থাকা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন আমীন।
Aucun commentaire:
Enregistrer un commentaire