> গণনা পুস্তক, ১৯ অধ্যায়, ১-১০ শ্লোক - Bangla Quran

Latest Posts

Post Top Ad

jeudi 26 novembre 2020

গণনা পুস্তক, ১৯ অধ্যায়, ১-১০ শ্লোক

লাল রংয়ের বক্‌না বাছুর
 
1এর পর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, 2“এ হল আমার দেওয়া শরীয়তের একটা ধারা: তোমরা বনি-ইসরাইলদের এমন একটা লাল রংয়ের বক্‌না গরু তোমাদের কাছে আনতে বলবে যার গায়ে কোন দোষ বা খুঁত নেই এবং যার কাঁধে কখনও জোয়াল চাপানো হয় নি। 3সেটা তোমরা ইমাম ইলীয়াসরকে দেবে। ছাউনির বাইরে নিয়ে তার সামনে এটা জবাই করতে হবে। 4তারপর ইমাম ইলীয়াসর তার আংগুলে করে কিছু রক্ত নিয়ে মিলন-তাম্বুর সামনের দিকে সাত বার ছিটিয়ে দেবে। 5তার সামনেই গরুটার চামড়া, গোশ্‌ত, রক্ত ও নাড়িভুঁড়ি সুদ্ধ গোবর পুড়িয়ে দিতে হবে। 6গরুটা যখন পুড়তে থাকবে তখন ইমামকে কিছু এরস কাঠ, এসোব ও লাল রংয়ের সুতা তার উপর ছুঁড়ে দিতে হবে। 7এর পর ইমামকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে নিয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে। তারপর সে ছাউনির মধ্যে যেতে পারবে, তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে নাপাক অবস্থায় থাকতে হবে। 8যে সেই গরুটা পোড়াবে তাকেও তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে। 9পাক-সাফ অবস্থায় আছে এমন কোন লোক সেই গরুটার ছাই তুলে নিয়ে ছাউনির বাইরে কোন পাক-সাফ জায়গায় রাখবে। সেই ছাই বনি-ইসরাইলরা পাক-সাফ করবার পানি তৈরী করবার জন্য রেখে দেবে। এটা নাপাকী থেকে পাক-সাফ হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে। 10যে লোকটি সেই গরুর ছাই তুলে নেবে তাকেও তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে এবং সে-ও সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এটা হবে ইসরাইলীয় এবং তাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
 
মৃতদেহ ছোয়ার নিয়ম
 
11“যদি কেউ কারো মৃতদেহ ছোঁয় তবে সে সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 12তৃতীয় ও সপ্তম দিনে তাকে পাক-সাফ করবার পানি দিয়ে নিজেকে পাক-সাফ করিয়ে নিতে হবে আর তারপর সে পাক-সাফ হবে। কিন্তু যদি সে তৃতীয় ও সপ্তম দিনে এইভাবে নিজেকে পাক-সাফ করিয়ে না নেয় তবে সে নাপাকই থেকে যাবে। 13যদি কেউ কারও মৃতদেহ ছোঁবার পর নিজেকে পাক-সাফ করিয়ে না নেয় তবে সে মাবুদের আবাস-তাম্বু নাপাক করে। সেই লোককে বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে। তার গায়ে পাক-সাফ করবার পানি ছিটানো হয় নি বলে সে নাপাকই থাকবে এবং তার নাপাকী তার উপরে থেকে যাবে।
14“কোন লোক তাম্বুর ভিতরে মারা গেলে এই আইন মানতে হবে- যারা সেই তাম্বুর ভিতরে ঢুকবে আর যারা ঐ তাম্বুতেই ছিল তারা সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 15সেখানকার যে সমস্ত পাত্র ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করা হয় নি বলে খোলা অবস্থায় ছিল সেগুলোও নাপাক হয়ে গেছে।
16“যুদ্ধে কিংবা স্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়ে খোলা মাঠে পড়ে আছে এমন কাউকে যদি কেউ ছোঁয় তবে সে সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। কেউ যদি মানুষের হাড় কিংবা কবর ছোঁয় তবে সে-ও সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
17“এই সব নাপাক লোকদের নাপাকী থেকে পাক-সাফ করবার উদ্দেশ্যে যে পশু পোড়ানো হয়েছে তার কিছু ছাই একটা পাত্রের মধ্যে রেখে তার উপর স্রোতের পানি ঢেলে দিতে হবে। 18তারপর পাক-সাফ অবস্থায় আছে এমন একজন লোক এসোবের কয়েকটা ডাল সেই পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে সেই তাম্বু, তার ভিতরকার জিনিসপত্র ও লোকদের উপর তা ছিটিয়ে দেবে। মানুষের হাড় কিংবা কবর কিংবা মেরে ফেলা বা মরে যাওয়া লোককে ছুঁয়েছে এমন লোকের উপরেও সেই পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। 19পাক-সাফ অবস্থায় থাকা লোকটি নাপাক অবস্থায় পড়া লোকের উপর তৃতীয় ও সপ্তম দিনে সেই পানি ছিটিয়ে দেবে এবং সপ্তম দিনে সে তাকে পাক-সাফ করবে। যাকে পাক-সাফ করা হচ্ছে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে এবং সেই দিন সন্ধ্যা থেকে সে পাক-সাফ হবে। 20নাপাক হওয়ার পর যদি কেউ নিজেকে পাক-সাফ করিয়ে না নেয় তবে তাকে তার সমাজের মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে, কারণ নিজেকে পাক-সাফ না করে সে মাবুদের পবিত্র তাম্বু নাপাক করেছে। পাক-সাফ করবার পানি তার উপর ছিটানো হয় নি বলে সে নাপাক। 21বনি-ইসরাইলদের জন্য এটা হবে একটা স্থায়ী নিয়ম।
“যে লোক এই পাক-সাফ করবার পানি ছিটাবে তাকেও তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ এই পাক-সাফ করবার পানি ছোঁয় তবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। 22নাপাক অবস্থায় থাকা লোকটি যা কিছু ছোঁবে তা নাপাক হয়ে যাবে এবং তার ছোঁয়া জিনিস যে ছোঁবে সে-ও সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।”

Aucun commentaire:

Enregistrer un commentaire

Post Top Ad

Connect with us

More than 600,000+ are following our site through Social Media Join us now  

Youtube Video

Blog Stat

Sparkline 3258645

نموذج الاتصال

Nom

E-mail *

Message *

About the site

author Bangla Islamic" Bangla Islamic is the top Bangla Islamic Blog where you will get all information about Islamic news.

Learn more ←