22রাত্রে উঠে যাকোব তাঁর দুই স্ত্রী, দুই দাসী এবং এগারোটি ছেলেকে নিয়ে নদী পারাপারের জায়গায় গিয়ে যাব্বোকের নদী পার হলেন। 23তিনি তাদের ও তাঁর সমস্ত সম্পত্তি নদী পার করে পাঠিয়ে দিলেন। 24তিনি সেখানে একাই রইলেন আর এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে সকাল পর্যন্ত মল্লযুদ্ধ করলেন। যাকোবকে পরাস্ত করতে না পেরে সেই ব্যক্তি তাঁর ঊরুদেশে আঘাত করলেন, 25ফলে যাকোবের ঊরুফলক স্থানচ্যুত হল। তখন তিনি বললেন, রাত শেষ হয়ে এল, এবার আমাকে ছেড়ে দাও। 26কিন্তু যাকোব বললেন, আমাকে যতক্ষণ না আশীর্বাদ করছেন ততক্ষণ আপনাকে ছাড়ছি না। 27সেই ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন, যাকোব। সেই ব্যক্তি বললেন, তোমার নাম আর যাকোব থাকবে না, 28তোমার নাম হবে ইসরায়েল (ঈশ্বরের সঙ্গে যে যুদ্ধ করে)। কারণ তুমি ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছ। যাকোব তখন তাঁকে বললেন, দয়া করে আপনার নাম বলুন। 29তিনি বললেন, তুমি আমার নাম জানতে চাইছ কেন?—তিনি যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন। 30তখন যাকোব সেই জায়গার নাম রাখলেন পনুয়েল (অর্থাৎ ঈশ্বরের মুখ)। তিনি বললেন, আমি ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখেও প্রাণে বেঁচে গেছি।
31যাকোব পনুয়েল ছড়ে চলে যাওয়ার পর সূর্যোদয় হল। আহত উরুর জন্য তিনি খুঁড়িয়ে চলতে লাগলেন। 32এই কারণে ইসরায়েলীরা আজও ঊরুসন্ধির স্নায়ুমন্ডলের উপরে যে মাংসপেশী থাকে তা খায় না। কারণ সেই ব্যক্তি যাকোবের ঊরুদেশে আঘাত করেছিলেন।
Aucun commentaire:
Enregistrer un commentaire